বাংলাদেশে
কর ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে জাতীয়
রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ঘোষণা করেছে, ২০২৫-২৬ করবর্ষ থেকে আয়কর রিটার্ন দাখিল সবার জন্য অনলাইনে বাধ্যতামূলক। এনবিআর-এর
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা
জানানো হয়েছে।
কাদের
জন্য এটি বাধ্যতামূলক?
এনবিআর
জানিয়েছে, সারা দেশের সব
করদাতা—যাদের বৈধ টিআইএন (কর
শনাক্তকরণ নম্বর) রয়েছে—তাদেরকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রিটার্ন জমা দিতে হবে।
তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে
অনলাইন রিটার্নের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দেওয়া
হয়েছে। যেমন:
·
৬৫
বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ করদাতা
·
শারীরিকভাবে
অক্ষম
বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা (সনদ সাপেক্ষে)
·
বিদেশে
অবস্থানরত
বাংলাদেশি
নাগরিক
·
মৃত
করদাতার
পক্ষ থেকে রিটার্ন দাখিল করতে ইচ্ছুক আইনগত প্রতিনিধি
·
এই
চার শ্রেণির করদাতারা প্রয়োজনবোধে পূর্বের মতো কাগজে রিটার্ন
জমা দিতে পারবেন।
অনলাইনে
রিটার্ন জমা দিতে না
পারলে?
যদি
কোনো করদাতা ই-রিটার্ন সিস্টেমে কারিগরি সমস্যার কারণে রিটার্ন জমা দিতে অক্ষম হন, তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (৩১ অক্টোবরের মধ্যে)
সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনার বরাবর
একটি যৌক্তিক আবেদন জমা দিয়ে অনুমতি
সাপেক্ষে কাগজে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ পাবেন।
কর
প্রদান পদ্ধতি
করদাতারা
এখন খুব সহজেই ঘরে
বসে মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে আয়কর রিটার্ন দাখিল
করতে পারবেন। বিকাশ, রকেট, নগদ, ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডসহ বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে কর পরিশোধ
করা যাবে।
সেবা
সহায়তা
অনলাইনে
রিটার্ন জমা দিতে গিয়ে
কোনো সমস্যা হলে, এনবিআরের কল
সেন্টার ও অন্যান্য ডিজিটাল
সাপোর্ট চ্যানেল থেকে ২৪ ঘণ্টা সহায়তা পাওয়া যাবে।
অতীত
অভিজ্ঞতা
গত
বছর পরীক্ষামূলকভাবে নির্দিষ্ট কিছু করদাতার জন্য
অনলাইন রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এতে
প্রায় ১৭ লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দেন, যা ভবিষ্যতের জন্য
একটি বড় ধাপ হিসেবে
বিবেচিত হচ্ছে।
এই
পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশে কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন
আরও এক ধাপ এগোলো।
সময়মতো ও সহজে কর
পরিশোধের জন্য এখন অনলাইনই
একমাত্র পথ, প্রস্তুত থাকুন
নতুন করবর্ষের জন্য!